বর্তমান বিশ্বে মুসলিম সমাজ আজ যে কষ্ট ও মুসীবাতে জর্জরিত তার প্রধান কারণ হলো, তাদের মাঝে প্রকাশ্য শিরক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিমরা যে আজ ফিতনাহ, ফাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে , তা আল্লাহ্ তায়ালাই মুসলিমদের উপর গযব হিসেবে নাযিল করছেন। তার কারণ হচ্ছে, তারা তাওহীদ বিমুখ হয়ে জঘন্য শিরকি কর্মকাণ্ডে ডুবে রয়েছে। অধিকাংশ মুসলিম দেশের সর্বত্র যে শিরকি কর্মকাণ্ড চলছে পীরপূজা, ফাকীর পূজা, ক্ববর পূজা ও সৃষ্টিপূজা হচ্ছে তার প্রধানতম। এগুলো সম্পর্কে সর্বসাধারণের ব্যাপক ও সঠিক ধারণা না থাকার কারণে এসব কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পীরবাদ মোটেই ইসলাম সম্মত নয়। ইসলামের আলোকজ্জ্বল পরিবেশে এর জন্ম হয়নি। তার উন্মেষই হয়েছে ইসলামের পতনের যুগে। পীরবাদীদের কেউ কেউ ‘ইলমে তাসাউফের’ মাধ্যমে জনগণকে দ্বীন-ইসলামের দিকে নিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন; কিন্তু পীরবাদে যে মূ ল দোষ-ত্রুটি ছিল, তার বীজ রয়েই গেছে এবং তা সৃষ্টি করে রেখেছে একটি বিষবৃক্ষ। বর্তমানে তা-ই এক বিরাট বৃক্ষে পরিণত হয়ে জনগণকে চরমভাবে বিভ্রান্ত করছে, বিষাক্ত করছে জনগণের ‘আক্বীদাহ ও আমলকে।
ব্যক্তি ও সৃষ্টি পূজাকে উৎখাত করে আল্লাহ্র একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল। কিন্তু ইসলামের অনুসারী মুসলিমরা আজ সেসব পরিত্যাজ্য বিষয়গুলোকে সাওয়াবের কাজ মনে করে আমল করে যাচ্ছে, এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্যের কী আছে? তাই ঈমান বিধ্বংসী ও সমাজ বিপর্যয়ের কারণ এসব শিরকী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও হানাহানী পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমাজ থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্ব ও প্রইয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করে ‘পীর ফাকীর ও ক্ববর পূজা কেন হারাম’ নামক পুস্তক প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি।
বিনীত
মুহাম্মদ আইয়ূব
ব্যক্তি ও সৃষ্টি পূজাকে উৎখাত করে আল্লাহ্র একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্যই ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল। কিন্তু ইসলামের অনুসারী মুসলিমরা আজ সেসব পরিত্যাজ্য বিষয়গুলোকে সাওয়াবের কাজ মনে করে আমল করে যাচ্ছে, এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্যের কী আছে? তাই ঈমান বিধ্বংসী ও সমাজ বিপর্যয়ের কারণ এসব শিরকী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি ও হানাহানী পরিহার করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমাজ থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে জোর প্রচেষ্টা চালানোর গুরুত্ব ও প্রইয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করে ‘পীর ফাকীর ও ক্ববর পূজা কেন হারাম’ নামক পুস্তক প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি।
বিনীত
মুহাম্মদ আইয়ূব
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment