পূর্ববর্তী নবীগণ এবং তাদের জনপদের লোকদের ঘটনায় অনেক উপদেশ ও শিক্ষা রয়েছে। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ সমস্ত ঘটনা গভীরভাবে চিন্তা করা এবং দৈনন্দিন জীবনে এ থেকে উপকৃত হওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের ও অন্যান্য লোকের অনেক ঘটনা বর্ণনা করেছেন। উদ্দেশ্যে একটাই যাতে পরবর্তীগণ পূর্ববর্তীদের থেকে উপকৃত হয়। উপদেশ গ্রহণ করে ও শিক্ষা অর্জন করে। আল্লাহ তাআলা বলেন : 'তাদের কাহিনীতে বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন।' [সূরা ইউসুফ : ১১১]
ঘটনা মূলক বর্ণনা পদ্ধতি মূল বিষয় বস্তু আত্মস্থ করতে শ্রোতা ও পাঠকগণকে খুব দ্রুত আকৃষ্ট করে। মানুষের বিচার-বুদ্ধি, প্রকৃতি ও স্বভাবের উপর এর সফল প্রভাব পরে। ফলে সহজেই ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় এবং তার উপর আমল করা যায়। এ জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় সাহাবায়ে কেরামদের জন্য ঘটনা মূলক উদাহরণ পেশ করতেন।
বইটিতে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত ঘটনা ও বক্তব্য সমূহ একত্রিত করে কাহিনীরূপ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বস্ত তাফসীর,হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থ’ সমূহ থেকেও উদ্ধৃত করা হয়েছে। নবীদের কাহিনীর নামে প্রচলিত কেচ্ছা-কাহিনী ও ইসরাইলী উপকথা সমূহ হ’তে বিরত থেকে সহীহ বর্ণণাসমূহ দ্বারা বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে।
ঘটনা মূলক বর্ণনা পদ্ধতি মূল বিষয় বস্তু আত্মস্থ করতে শ্রোতা ও পাঠকগণকে খুব দ্রুত আকৃষ্ট করে। মানুষের বিচার-বুদ্ধি, প্রকৃতি ও স্বভাবের উপর এর সফল প্রভাব পরে। ফলে সহজেই ঘটনা হতে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় এবং তার উপর আমল করা যায়। এ জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় সাহাবায়ে কেরামদের জন্য ঘটনা মূলক উদাহরণ পেশ করতেন।
বইটিতে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত ঘটনা ও বক্তব্য সমূহ একত্রিত করে কাহিনীরূপ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে বিশ্বস্ত তাফসীর,হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থ’ সমূহ থেকেও উদ্ধৃত করা হয়েছে। নবীদের কাহিনীর নামে প্রচলিত কেচ্ছা-কাহিনী ও ইসরাইলী উপকথা সমূহ হ’তে বিরত থেকে সহীহ বর্ণণাসমূহ দ্বারা বইটি সমৃদ্ধ হয়েছে।
কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম বর্ণণা করা হয়েছে: আদম,নূহ,ইদরীস,হূদ,ছালেহ,ইবরাহীম,লূত,ইসমাঈল,ইসহাক,ইয়াকূব,ইউসুফ,আইয়ূব,শু‘আয়েব,মূসা,হারূণ,ইউনুস,দাঊদ,সুলায়মান,ইলিয়াস,আল-ইয়াসা‘,যুল-কিফ্ল,যাকারিয়া,ইয়াহ্ইয়া, ঈসা (আ) ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
“আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন”। (বুখারী)
মানব জাতির শেষ্ঠ মানুষ নবীদের জীবনী পাঠ করি, আল্লাহ আমাদের এই সকল কাহিনী ও ঘটনা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন।
লেখকঃ ড আসাদুল্লাহ আল গালিব
অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
0 মন্তব্য(সমূহ):
Post a Comment